নোটিশঃ এতদ্বারা অত্র প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্লে থেকে ১০ম শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের নির্দেশক্রমে ৩০/০৪/২০২৪ (মঙ্গলবার) হতে ০২/০৫/২০২৪ (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। বিশেষভাবে উল্লেখ করা যাচ্ছে যে, তাপপ্রবাহের কোনো পরিবর্তন বা শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের কর্তৃক পরবর্তী নিদের্শনা না দেওয়া পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে অফিসিয়াল যাবতীয় কার্যক্রম যথানিয়মে চলবে। তাই প্লে থেকে ১০ম শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থীর মাসিক বেতন, আসন্ন পরীক্ষার ফি ও বাস ভাড়া পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। - টিটন গাইন (প্রধান শিক্ষক)

স্কাউটের উদ্দেশ্য:

স্কাউট প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার একটি সম্পূরক অংশ। স্কাউটিং হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক, অরাজনৈতিক, ধর্মনিরপেক্ষ, সকলের জন্য উন্মুক্ত একটি শিক্ষামূলক যুব আন্দোলন। বিশ্বব্যাপী এই আন্দোলন সম্প্রসারিত ও সমাদৃত। শিশু, কিশোর ও কিশোরী বালক-বালিকাদের সুস্থ শরীর, সৎ, চরিত্রবান, আত্মনির্ভরশীল, সুন্দর মন, সুশৃঙ্খল জীবন, সহমর্মিতা, সৌভ্রাতৃত্ব, আত্মসংযম, নেতৃত্বদান, সম্প্রীতি ও সমাজ সেবামূলক মনোভাব গড়ে তোলার উত্তম অনুশীলন ক্ষেত্র। যাতে করে তারা ভারসাম্যপূর্ণ ব্যক্তি, দায়িত্বশীল নাগরিক এবং স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে জীবন যাপন করতে পারে।

কার্যক্রম:
১। স্কুলে প্রতি বছর ২ দিনব্যাপী স্কাউট ক্যাম্প করা হয়। ৩২ থেকে ৬৪ জন স্কাউট অংশ গ্রহণ করে।
২। জেলা পর্যায়ে ৭ দিনের কোনো র‌্যালি/ ক্যাম্প হলে সেখানে অংশ গ্রহণ করা হয়।
৩। জেলা প্রশাসনের কোনো প্রোগ্রাম থাকলে যেমন বৃক্ষরোপণ বা অন্য যে কোনো র‌্যালিতে অংশ গ্রহণের আমন্ত্রণ পেলে আমরা অংশ গ্রহণ করে থাকি।
৪। স্কাউট সদস্যরা ৬টি গেরো সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে। তাঁবু গেরো, গুঁড়িটানা গেরো, পাল গেরো, ডাক্তারি গেরো, বড়শি গেরো, দড়ি দিয়ে জীবনের প্রয়োজনে তারা এগুলো শিখে থাকে।
৫। প্রশিক্ষণ থেকে স্কাউটরা বই বাঁধাই শেখা ইতোপূর্বে আমাদের লাইব্রেরির অনেক বই স্কাউটরা বাঁধাই করে দিয়েছে। তার ফলে তারা ব্যক্তি জীবনে এটা কাজে লাগাতে পারে।
৬। প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা পায়।
৭। হাইকিং সম্পর্কে ধারণা নিয়ে রিপোর্টিং করতে পারে, কম্পাসের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার কৌশল হাতে কলমে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
৮। স্কাউট প্রোগ্রামে মহাতাঁবু জলসায় নাচ, গান, নাটক ইত্যাদি হয়ে থাকে। ফলে স্কাউটদের মধ্যে সাহস, সৃজনশীলতা এবং নতুন কিছু সৃষ্টি করার উদ্দীপনা, দায়িত্বশীলতা বেড়ে যায়। জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য স্কাউট কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা কর্তব্য।


সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য:

সংগীত, নৃত্য সৃজনশীলতা বিকাশের একটি অন্যতম মাধ্যম। আনন্দদায়ক পাঠেরই অংশ। এই উদ্দেশ্যেই শিক্ষার্থীদের আনন্দের সাথে পাঠে সম্পৃক্ত করা এবং তাদের নিজস্ব শিল্প সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করানোই এই ক্লাবের উদ্দেশ্য।

কার্যক্রম: এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা অনেক প্রতিভা সম্পন্ন শিক্ষার্থী পেয়ে থাকি যারা থানা ও জেলা পর্যায়ে তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে বিদ্যালয়ের সুনাম বয়ে আনে।
১) শিক্ষার্থীদের জাতীয় সংগীত শুদ্ধভাবে শেখানো।
২) প্রতিদিন সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যের নির্ধারিত ক্লাস থাকে যেখানে শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ।
৩) জাতীয় দিবসগুলো উদ্‌যাপন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপযোগী করে শিক্ষার্থীদের তৈরি করা।
৪) শিক্ষাবোর্ডের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের তৈরি করা।
৫) শিশু একাডেমি ও শিল্পকলা একাডেমির বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা।
৬) বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ডিসপ্লেতে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনায় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করা।
৭) এছাড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, অতুল প্রসাদ সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত সেন এই পঞ্চকবির গানের সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করানো।
৮) আমাদের শেকড়ের গান সেই লোক সংগীত, লালন শাহ্, হাসন রাজা সহ বিভিন্ন গুণী শিল্পীদের গান শেখানো হয়।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও বলেছেন, ‘সংগীত ও নৃত্য শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ’। সেই উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রম হিসাবে, সংগীত ও নৃত্যের মাধ্যমে সৃজশীলতার বিকাশ ও একজন মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসাবে গড়ে তোলাই এই ক্লাবের উদ্দেশ্য।


খেলাধুলা-(সহশিক্ষা কার্যক্রম) এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:

শারীরিক শিক্ষা, শিক্ষার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শারীরিক শিক্ষা হলো- শারীরিক কার্যক্রমের মাধ্যমে শারীরিক মানসিক আবেগিক এবং সামাজিক দিক দিয়ে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পৌছানোর চেষ্টা। তাছাড়া ক্রীড়া প্রতিয়োগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শৃঙ্খলা, নেতৃত্ব, আত্মবিশ্বাস, সহিষ্ণুতা, আনুগত্যবোধ ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করা।

কার্যক্রম: এই সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা অনেক প্রতিভাবান খেলাধুলায় পারদর্শী শিক্ষার্থী পেয়ে থাকি যারা তাদের খেলাধুলার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করে।
১। প্রত্যেক বৃহস্পতিবার সহশিক্ষা কার্যক্রমের (শারীরিক শিক্ষার) নির্ধারিত ক্লাস থাকে যেখানে শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ।
২। খেলাধুলার জন্য তাদের পূর্ব থেকে বিদ্যালয়ের নিজেদের মাঠে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
৩। জাতীয় স্কুল মাদ্রাসা ও কারিগরি গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন যে সকল খেলাধুলা হয় বিশেষ করে ফুটবল, ক্রিকেট, সাঁতার ব্যাডমিন্টন, হ্যান্ডবল খেলায় আমরা অংশগ্রহণ করে থাকি এবং অনেক পুরস্কার পেয়েছি।
৪। বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ডিসপ্লেসহ বিভিন্ন ধরনের শরীরচর্চা প্রদর্শন করা হয়।
৫। ৫ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিবছর অন্তঃশ্রেণি স্বাধীনতা কাপ ক্রিকেট খেলা হয়, ফলে এখান থেকে তরুণ উদীয়মান ক্রিকেট খেলোয়াড় গড়ে ওঠে। তাছাড়া ফুটবল ও অন্যান্য খেলাও হয়ে থাকে।
আমরা জানি----“স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।” সত্যিকার অর্থে মানুষ শারীরিক সক্ষমতা অর্জন করলে জীবনের সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবে। পরিশেষে বলতে চাই--
‘সুস্থ দেহে সুস্থ মন
সুন্দর দেহে সুন্দর মন’।